মাগুরা জেলার মহম্মদপুরে জমিজমাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে দুপক্ষের সমর্থকদের নারীসহ কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদেরকে স্থানীয় মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১ লা এপ্রিল) বিকালে উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের মহিমানগরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে মহিমানগরের আবুতালেব মোল্যার ছেলে হাফিজুর রহমান তার বসবাসকৃত বাড়ির জমিতে বসতঘর নির্মান ছিল। একই গ্রামের আবির হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান তার সর্মথকদের নিয়ে বসতঘর নির্মানকৃত জমি নিজের দাবি করে মিজানুরকে ঘর নির্মান করতে বাধা দেয়। এ সময় হাফিজুর এবং মিজানুরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি থেকে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে বাধে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

সংঘর্ষে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন, লিটন, হাসিবুল, শরিফুল, পাখি মোল্যা, নাজমূল, আরব আলী, নার্গিস, রেজওয়ান, সাইফুর মোল্যা, গোলাম কিবরিয়া, নয়ন আলী, হাফিজুর রহমান, লিটন আলী, মনোয়ার হোসেন । এছাড়াও বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষকৃত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।

আহত কয়েকজন জানান, বিগত ৩০ বছর ধরে আবু তালেব মিয়া জমিটা ভোগ দখল করছিলেন।এ জমি নিয়ে আদালতে কোন মামলাও নেই। আবু তালেবের ছেলে হাফিজুর জমিতে ঘর নির্মানের কাজ করতে গেলে মিজানুর রহমান নামের এক ব্যাক্তি হঠাৎ জমি নিজের দাবি করে অতর্কিত হামলা করে । আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মহম্মদপুর থানা সূত্রেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া তবে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি তারা পায়নি বলে জানা গেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বর্তমানে সংঘর্ষকৃত এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।